সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সুতিকাগার সিরাজগঞ্জ সলঙ্গা থানা সদরের প্রাণকেন্দ্রে দাঁড়িয়ে আছে একটি স্বপ্ন “সলঙ্গা মহিলা কলেজ”।১৯৯৯ সালে কতিপয় বিদ্যানুরাগীর হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজটি নারীদের জন্য উচ্চশিক্ষার আশার প্রদীপ।আজ সেই প্রদীপ এখনও জ্বলছে,কিন্তু শিখা যেন ধুঁকছে অভাবের হাওয়ায়।
২৫ জন শিক্ষক ও কর্মচারী আর প্রায় ৩০০ জন ছাত্রী নিয়ে ২৬ বছরের দীর্ঘ পথ পেরিয়েছে কলেজটি। এ পর্যন্ত ২৪টি ব্যাচ বের হয়েছে, ফলাফলও ছিল সন্তোষজনক।অথচ বাস্তবতা হলো এখনো পর্যন্ত কলেজটি এমপিওভুক্ত হয়নি। ২০১৩ সাল থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের ন্যায্য দাবী চালিয়ে যাচ্ছেন,কিন্তু প্রতিশ্রুতির আলো জ্বলেনি।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মমিনুল ইসলাম ক্ষোভ ও কষ্ট মিলিয়ে বলেন, এমপিও ভুক্তির জন্য দুইবার আবেদন করেছি,কিন্তু কোনো উত্তর মেলেনি। এমপিওভুক্ত না হওয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীরা মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। অনেকেই অন্য চাকরির সুযোগ হারাচ্ছেন,শূন্যপদে নিয়োগ বন্ধ হয়ে গেছে।অথচ আমরা জানি এই লড়াই ন্যায্য, তাই আমরা থামবো না।শিক্ষকদের কেউ কেউ জানালেন, মাসের পর মাস বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। তবুও তারা ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ গড়তে প্রতিদিন ক্লাসে আসেন,যেন দুঃখ-কষ্ট ভুলে গিয়ে শুধু পড়াতে পারেন।নারী শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র সলঙ্গা মহিলা কলেজ শুধু একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, এটি আমাদের মেয়েদের মুক্তির সিঁড়ি।এই প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে এলাকার নারী শিক্ষার বড় ক্ষতি হবে।”
২৬ বছরের পুরনো একটি স্বপ্ন এখন সরকারের একটিমাত্র স্বাক্ষরের অপেক্ষায়। শিক্ষকদের চোখের পানি নিয়ে আশা করছেন,হয়তো কোন একদিন সেই কাগজে স্বাক্ষর হবে,আর সেদিন তারা বলবেন, “অবশেষে আমাদের লড়াই সফল হলো”।
স্থানীয়দের দাবি অতিদ্রুত কলেজটি এমপিওভুক্ত করে শিক্ষার মান বৃদ্ধি করা হোক।