মাদারীপুর:
মাদারীপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে ঘর থেকে ফেরিওয়ালাকে তুলে নিয়ে দু’চোখ উৎপাটনের চেষ্টার অভিযোগ করেছেন পরিবার। রোববার সন্ধ্যায় মাদারীপুর নতুন শহর এলাকার একটি সাংবাদিক অফিসে সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার বিচার দাবি করেন তারা। ভুক্তভোগী জাকির শেখ (৫০) সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়নের ‘পশ্চিম মাঠ বাঘাবাড়ি’ এলাকায় ওয়াজেদ শেখের ছেলে। আহত জাকিরের পরিবারে ৯ সন্তান ও তার স্ত্রী রয়েছেন। বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ফেরি করে কসমেটিকস্ বিক্রি করে জাকির।
ভুক্তভোগী জাকির শেখের স্ত্রী ঝিনুক বেগম অভিযোগ করে বলেন, শনিবার রাতে সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়নের ‘পশ্চিম মাঠ বাঘাবাড়ি’ এলাকায় চোর সন্দেহে একই এলাকার আলতা মাতুব্বরের ছেলে ই¯্রাফিল মাতুব্বর (৪০) ও শ্রীনদী রায়েরকান্দি গ্রামের সিরাজ শিকদারের ছেলে বাবুল শিকদার (২৫) নামে দুই যুবককে গণপিটুনী দেয় স্থানীয়রা। পরে এই ঘটনাকে ব্যবহার করে পূর্ব শত্রুতার জেরে রোববার সকালে ঘর থেকে ফেরিওয়ালা জাকির শেখকে তুলে নিয়ে যায় একই এলাকার কোহিনুর, কামাল, সজিব, ওমর, শফিকুলসহ বেশ কয়েকজন। পরে খেঁজুর গাছের পাতার কাটা দিয়ে জাকির দু’চোখ ক্ষতিগ্রস্থ করে তারা। চেষ্টা করা হয় চোখ উৎপাটনের। জাকির ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় হালমাকারীরা। পরে জাকিরকে গুরুতর অবস্থায় প্রথমে ভর্তি করা হয় মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাকিরকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেলে। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে জাকিরকে ফাঁসাতে তার চোখ ক্ষতিগ্রস্থ করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘যদি কেউ পূর্ব শত্রুতার জেরে জাকির শেখের দুচোখ ক্ষতিগ্রস্থ করে তাহলে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো। চুরি করতে গিয়ে কোন ব্যক্তি আটক হলে তাকেও মারধর করার কোন সুযোগ নেই। ঘটনাটি আমরা গভীরভাবে তদন্ত করছি। এর পেছনের কারণও অনুসন্ধানের চেষ্টা করছি। কেউ যদি ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য এমন কর্মকান্ড করে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।’